নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : ধনিয়াখালি থানার পারাম্বুয়া জগদ্ধাত্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র পারাম্বুয়া সাহাবাজার পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোবিন্দপুরের বাসিন্দারা সুমন বারিকের বাবা ভাগচাষী। পরিবারের পাঁচ জনের মধ্যে চারজন অসুস্থ। তীব্র দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে মাধ্যমিকে ৬৬০ নম্বর পেয়েছে সে। বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে আগামী দিন ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই সুমন। পাঁচজনের সংসারে বাবা একা রোজগেরে। ভাগচাষী বাবার বছর কয়েক আগে স্পাইনাল কর্ডে অপারেশন হয়েছে। ভারী কাজ করতে পারে না। মা ,ঠাকুমা ,বোন অসুস্থ। প্রতিদিনের সংসার খরচ ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে বাবা। পড়াশোনার খরচ এর কথা বলতে পারে না সে । আগামী দিন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা আছে। বিজ্ঞান বিভাগের বই কেনা, শিক্ষকদের টিউশন ফি দেওয়ার ক্ষমতা নেই পরিবারের। হার না মেনে কঠিন লড়াইয়ের সাফল্যের আশায় দিন গুনছে সুমন। সুমনের বাবা বলেন ছেলে ভাল রেজাল্ট করেছে আরো পড়া শোনা করতে চাইছে। আমাদের অর্থের খুব অভাব। পরের জমিতে চাষ করি, যা পাই সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। সংসার চালাবো না ছেলের পড়া শোনার খরচ জোগার করবো। তিন জন অসুস্থ। ছেলে চাইছে পড়া শোনা করতে বাবা হয়ে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। যদি সরকার সাহায্যো করে। "মা"অঞ্জলি বারিক জানান কেউ যদি সহযোগিতা করে ছেলেটার ইচ্ছা পূরণ হতে পারে। আমাদের পরিবার নানা রখম সমস্যার মধ্যে পড়ে আছি। আমার স্বামীর সেই ভাবে রোজগার নেই। ছেলেকে পড়াশোনা করানোর জন্য অর্থ নেই। সরকার যদি সহায্য করে তা হলে উপকার হবে।