মাধ‍্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৬৬০ : ইঞ্জিনিয়ার হতে চাওয়া সুমনের ইচ্ছাপূরণে বাধা আর্থিক সমস‍্যা

19th July 2020 11:43 am হুগলী
মাধ‍্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৬৬০ : ইঞ্জিনিয়ার হতে চাওয়া সুমনের ইচ্ছাপূরণে বাধা আর্থিক সমস‍্যা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  ধনিয়াখালি থানার পারাম্বুয়া জগদ্ধাত্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র পারাম্বুয়া সাহাবাজার পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোবিন্দপুরের বাসিন্দারা সুমন বারিকের বাবা ভাগচাষী। পরিবারের পাঁচ জনের মধ্যে চারজন অসুস্থ। তীব্র দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে মাধ্যমিকে ৬৬০ নম্বর পেয়েছে সে। বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে আগামী দিন ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই সুমন। পাঁচজনের সংসারে বাবা একা রোজগেরে। ভাগচাষী বাবার বছর কয়েক আগে স্পাইনাল কর্ডে অপারেশন হয়েছে। ভারী কাজ করতে পারে না। মা ,ঠাকুমা ,বোন অসুস্থ। প্রতিদিনের সংসার খরচ ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে বাবা। পড়াশোনার খরচ এর কথা বলতে পারে না সে । আগামী দিন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা আছে। বিজ্ঞান বিভাগের বই কেনা, শিক্ষকদের টিউশন ফি দেওয়ার ক্ষমতা নেই পরিবারের। হার না মেনে কঠিন লড়াইয়ের সাফল্যের আশায় দিন গুনছে সুমন। সুমনের বাবা বলেন ছেলে ভাল রেজাল্ট করেছে আরো পড়া শোনা করতে চাইছে। আমাদের অর্থের খুব অভাব। পরের জমিতে চাষ করি, যা পাই সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। সংসার চালাবো না ছেলের পড়া শোনার খরচ জোগার করবো। তিন জন অসুস্থ। ছেলে চাইছে পড়া শোনা করতে বাবা হয়ে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। যদি সরকার সাহায্যো করে। "মা"অঞ্জলি বারিক জানান কেউ যদি সহযোগিতা করে ছেলেটার ইচ্ছা পূরণ হতে পারে। আমাদের পরিবার নানা রখম সমস্যার মধ্যে পড়ে আছি। আমার স্বামীর সেই ভাবে রোজগার নেই। ছেলেকে পড়াশোনা করানোর জন্য অর্থ নেই। সরকার যদি সহায্য করে তা হলে উপকার হবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।